ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানে নীরব অভ্যুত্থান, প্রকৃত ক্ষমতা দখল করলেন আসিম মুনির (Asim Munir)। আর সেনাপ্রধান নয়। পাকিস্তানের (Pakistan) আসিম মুনিরের পদের নতুন নামকরণ করা হচ্ছে। তাঁর দায়িত্বও কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সংবিধান সংশোধন করে পাকাপাকি ভাবে এই বন্দোবস্ত করতে আগ্রহী শাহবাজ শরিফের সরকার। সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী, পাক মিলিটারির তিন শাখার সর্বোচ্চ কম্যান্ডার মুনির। সংশোধনী-বলে কোনও আদালতে মুনির-এর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশীর্বাদে মুনির এবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে (Pakistan Army) ইসলামিক বাহিনীতে রূপ দেবার কাজে হাত দিয়েছেন।
সেনাবাহিনীতে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতেও আলাদা করে জোর দেওয়া হয়েছে নতুন সংশোধন-প্রস্তাবে। সংশোধনী বিলের অধীনে, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সেনাপ্রধান এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ করবেন। সংবিধান সংশোধনের পর ক্ষমতা বাড়ল পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের। পাকিস্তানের সর্বেসর্বা বানাতে নতুন একটি পদও তৈরি করা হল সংবিধান সংশোধন করে। পাকিস্তানে তৈরি করা হল চিফ অব ডিফেন্স ফোর্স পদ। দেশের তিন বাহিনীর মধ্যে আরও ভাল সমন্বয় তৈরির জন্য এই পদ তৈরি করা হয়েছে। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, সরকার এবার থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ফিল্ড মার্শাল, এয়ার মার্শাল ও অ্যাডমিরাল পদে প্রোমোশন বা পদোন্নত করতে পারবে। ফিল্ড মার্শালরা আজীবন এই র্যাঙ্ক এবং এর সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণের পরদিনই কেঁপে উঠল পাকিস্তান, মৃত ১২
পাকিস্তানের তিন সামরিক শাখার সর্বোচ্চ কমান্ডার হলেন জেনারেল আসিম মুনির। যিনি বর্তমানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং ফিল্ড মার্শাল। সম্প্রতি একটি সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে তাকে এই নতুন ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা তাকে সামরিক বাহিনীর তিনটি শাখার (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এবং বিমান বাহিনী) ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারকে অনেকেই বলছেন একটি ‘পাপেট রেজিম’, যার মাধ্যমে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নিজের ক্ষমতার পরিসরকে আরও বিস্তৃত করছেন।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সিনেট যে ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করেছে। এই সংশোধনী কার্যত সামরিক শাসনকে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে বৈধতা দিতে চায়, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভা, এমনকি বিচারব্যবস্থার অংশ বিশেষকেও জেনারেল মুনিরের ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণাধীন করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল—এতে পাকিস্তানের সামরিক শৃঙ্খলা, পারমাণবিক কর্তৃত্ব এবং আন্তঃবাহিনী সমন্বয়ের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে মুনিরের হাতে। সংশোধনী-বলে কোনও আদালতে মুনির-এর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। সশস্ত্র বাহিনী কোন পথে চলবে সেটা আসিম মুনির ঠিক করবে। যেটা আশঙ্কা করা হচ্ছে পাকিস্তনের মিলিটারিকে ইসলামিক বাহিনীতে রূপ দেবার কাজে হাত দিয়েছেন। পাকিস্তানের মিলিটারি বদলে জেহাদি মিলিটারি তৈরি করার পথে এগোচ্ছে মনির। যা গোটা উপমহাদেশের কাছে বিপদজনক।
অন্য খবর দেখুন







